In group:- Posted by Ayesha Farjana (Admin)
at 01 Aug 2019
কারণ আমি তাদের পছন্দ করা ছেলেকেই বিয়ে করেছি!!!!
কি কিছু বুঝতে পারছেন না?
আচ্ছা খুলেই বলি।
২০১৪ সাল। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন কালে পারিবারিক ভাবে আমার বিয়ের জন্য একটা ছেলে দেখা হয়।
নাম শাহেদ, ঢাকায় ব্যাবসা করে।
যাইহোক একদিন বিকেলবেলা আমাদের বাসায় শাহেদ, তার মা বাবা, দুলাভাই সহ বেশ কিছু মেহমান আসল। প্রত্যেকটা মেয়ের জিবনে এটাই স্বাভাবিক।
শাড়ি পরিয়ে আমাকে তাদের সামনে আনা হল।
পাত্র / পাত্রী দেখতে আসলে যা হয় আর কি তা বর্ননা দেয়ার কিছু নাই।
অবশেষে আমার হাতে ৬টা ৫০০ টাকার নোট গুঁজে দিয়ে শাহেদের আম্মা আমাকে বিদায় দিল।
মেয়ে তাদের পছন্দ হয়েছে। অবশেষে কথাবার্তা।
আমি তখন অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী। যেহেতু শাহেদ BSC করা ছিল তাই তার ইচ্ছা ছিল তার বউ নুন্যতম অনার্স পাশ হোক। সবার সম্মতিক্রমে বিয়ে ২ বছর পিছানো হল।
এরই মধ্যে শাহেদের সাথে আমার আলাপচারিতা শুরু হয়ে গেল।
- জানো নিধি তোমাকে আমার কেন এত পছন্দ হয়েছে?
- না!
- তোমার ওই গেজ দাঁতটাত কারনে। জানো তুমি যখন হাসো তখন ওই দাঁত টা তোমার সৌন্দর্য কে আরো হাজার গুন বাড়িয়ে দেয়।
- তাই?
শাহেদের সাথে আমার ও কথা বলতে তেমিন আপত্তি ছিল না। কারন কিছু দিন পর যার সাথে আমার বিয়ে তাকে এখন থেকেই বুঝা দরকার। ১ বছরের মাথায় আমাদের আর পায় কে? গভীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি দুজন। অবশ্য আমাদের দুইজনের ফেমিলির বিষয় টা জানা ছিল।
শাহেদ মাঝেমাঝে ঢাকা থেকে রাজশাহী তে আসতো আমার সাথে দেখা করতে।
২০১৬ সালের এপ্রিল এর ১৯ তারিখ রাজশাহী আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ১টা পা হারায় শাহেদ।
আমার পরিবার থেকে সরাসরি আমাদের বিয়ের বিষয় টা মানা করে দেওয়া হল। শাহেদ ও আমাকে ফোন করে বলেছিল যে :-
নিধি যদি তুমি চাও তবে সরে যেতে পারো, বিশ্বাস কর আমি একটু ও কষ্ট পাবো না।
আমার ফাইনার পরিক্ষার আগ পর্যন্ত প্রায় ৬ মাস শাহেদের সাথে আমার আর যোগাযোগ হয়নি। সে ও আমাকে ফোন করেনি, ভেবেছিলাম যে ছেলে ১মিনিট আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারতো না সে ৬ মাস কেমনে আছে?
আমি যে বুঝিনা তা নয়।
যাই হোক ডিসেম্বরের ৪ তারিখ আমার পরিক্ষা শেষ হল।
সে দিন বিকেলেই আমি সরাসরি শাহেদের বাসায় গিয়ে উঠলাম।
কেরাস হাতে বারান্দায় দাড়িয়ে ছবি আকছে সে,
গেজ দাঁত ওয়ালা ১টা মেয়ে মুখ আর সে মুখ নিধির ছাড়া আর কারো নয়।
আজ ৩ বছর আমাদের বিয়ে হয়েছে,
শাহেদের হয়তো একটা অঙ্গ নেই, তাতে কি আমি তো আছি,
আমিইতো তার অর্ধাঙ্গিনী......
(সংগৃহিত)
Like our page
at 01 Aug 2019
আমার ফ্যামিলির সাথে আজ প্রায় ৩ বছর আমার কোনো যোগাযোগ নেই।
কারণ আমি তাদের পছন্দ করা ছেলেকেই বিয়ে করেছি!!!!
কি কিছু বুঝতে পারছেন না?
আচ্ছা খুলেই বলি।
২০১৪ সাল। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন কালে পারিবারিক ভাবে আমার বিয়ের জন্য একটা ছেলে দেখা হয়।
নাম শাহেদ, ঢাকায় ব্যাবসা করে।
যাইহোক একদিন বিকেলবেলা আমাদের বাসায় শাহেদ, তার মা বাবা, দুলাভাই সহ বেশ কিছু মেহমান আসল। প্রত্যেকটা মেয়ের জিবনে এটাই স্বাভাবিক।
শাড়ি পরিয়ে আমাকে তাদের সামনে আনা হল।
পাত্র / পাত্রী দেখতে আসলে যা হয় আর কি তা বর্ননা দেয়ার কিছু নাই।
অবশেষে আমার হাতে ৬টা ৫০০ টাকার নোট গুঁজে দিয়ে শাহেদের আম্মা আমাকে বিদায় দিল।
মেয়ে তাদের পছন্দ হয়েছে। অবশেষে কথাবার্তা।
আমি তখন অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী। যেহেতু শাহেদ BSC করা ছিল তাই তার ইচ্ছা ছিল তার বউ নুন্যতম অনার্স পাশ হোক। সবার সম্মতিক্রমে বিয়ে ২ বছর পিছানো হল।
এরই মধ্যে শাহেদের সাথে আমার আলাপচারিতা শুরু হয়ে গেল।
- জানো নিধি তোমাকে আমার কেন এত পছন্দ হয়েছে?
- না!
- তোমার ওই গেজ দাঁতটাত কারনে। জানো তুমি যখন হাসো তখন ওই দাঁত টা তোমার সৌন্দর্য কে আরো হাজার গুন বাড়িয়ে দেয়।
- তাই?
শাহেদের সাথে আমার ও কথা বলতে তেমিন আপত্তি ছিল না। কারন কিছু দিন পর যার সাথে আমার বিয়ে তাকে এখন থেকেই বুঝা দরকার। ১ বছরের মাথায় আমাদের আর পায় কে? গভীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি দুজন। অবশ্য আমাদের দুইজনের ফেমিলির বিষয় টা জানা ছিল।
শাহেদ মাঝেমাঝে ঢাকা থেকে রাজশাহী তে আসতো আমার সাথে দেখা করতে।
২০১৬ সালের এপ্রিল এর ১৯ তারিখ রাজশাহী আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ১টা পা হারায় শাহেদ।
আমার পরিবার থেকে সরাসরি আমাদের বিয়ের বিষয় টা মানা করে দেওয়া হল। শাহেদ ও আমাকে ফোন করে বলেছিল যে :-
নিধি যদি তুমি চাও তবে সরে যেতে পারো, বিশ্বাস কর আমি একটু ও কষ্ট পাবো না।
আমার ফাইনার পরিক্ষার আগ পর্যন্ত প্রায় ৬ মাস শাহেদের সাথে আমার আর যোগাযোগ হয়নি। সে ও আমাকে ফোন করেনি, ভেবেছিলাম যে ছেলে ১মিনিট আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারতো না সে ৬ মাস কেমনে আছে?
আমি যে বুঝিনা তা নয়।
যাই হোক ডিসেম্বরের ৪ তারিখ আমার পরিক্ষা শেষ হল।
সে দিন বিকেলেই আমি সরাসরি শাহেদের বাসায় গিয়ে উঠলাম।
কেরাস হাতে বারান্দায় দাড়িয়ে ছবি আকছে সে,
গেজ দাঁত ওয়ালা ১টা মেয়ে মুখ আর সে মুখ নিধির ছাড়া আর কারো নয়।
আজ ৩ বছর আমাদের বিয়ে হয়েছে,
শাহেদের হয়তো একটা অঙ্গ নেই, তাতে কি আমি তো আছি,
আমিইতো তার অর্ধাঙ্গিনী......
(সংগৃহিত)
Like our page
No comments:
Post a Comment